নিজস্ব প্রতিবেদক ও হাটহাজারী প্রতিনিধিঃ এক যুগেরও বেশি সময় পর বহুল প্রতিক্ষিত হাটহাজারী পৌরসভা দোকানদার ব্যবসায়ী সমিতির কার্যকারী সংসদ (২০১৮-২০২০ খ্রি.) এর নির্বাচন কোন প্রকার সহিংসতা ছাড়াই সুষ্টুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গত ৬ জানুয়ারি কাচারী সড়কস্থ সুপার সিটি (নির্মাণাধীন) মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় সকাল ৮টা থেকে থেকে শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত নিবিন্ঘে ভোট গ্রহন চলে।
অত্যন্ত সতেজপূর্তভাবে ১৫টি বুথে প্রায় ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ভোট গ্রহনের দায়িত্বে কাজ করছে প্রায় অর্ধ শতাধিক প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পৌর এলাকা জুড়ে ছিল শুধুই উৎসবের আমেজ। ভোট কেন্দ্রে সহিংসতার ঘটনা এড়াতে প্রায় অর্ধ-শতাধিক আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ভোট কেন্দ্রে সর্বক্ষনিক নিয়োজিত ছিল।
ভোটাররা যাতে নিবিঘে সুষ্ঠুভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে এজন্য নির্বাচন কমিশন ৩ স্তরের নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করেছিল। এছাড়া ভোটাধিকার প্রয়োগে যাতে ভোটারদের কোন প্রকার বেগ পেতে না হয় এজন্য ভোট চলাকালীন সময়ে কাচারী সড়কে সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ রাখে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, কার্যকারী সংসদ নির্বাচনে মোট ২৫টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও বিনা প্রতিন্দ›িদ্বতায় ৯টি পদে ১৫ জন প্রার্থী বিভিন্ন পদে নির্বাচিত হয়েছে। তবে আরো ৯টি পদে ২৪ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিন্দ›িদ্বতা করেছে। হরিণ প্রতীক নিয়ে প্রতিন্দ›িদ্বতা করে ১৪৯৬ ভোট পেয়ে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোহামম্মদ শাহ আলম। তার নিকটতম প্রতিন্দ›িদ্ব রিক্সা প্রতীক সৈয়দ নরুল আলম পেয়েছেন ১৩৭৮ ভোট। আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিন্দ›িদ্বতা করে ১৪০৮ ভোট পেয়ে মো. নাছির উদ্দিন সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিন্দ›িদ্ব দোয়াত কলম প্রতীক মো. বেলায়েত হোসেন পেয়েছেন ৪৬১ ভোট ও দেওয়াল ঘড়ি প্রতীক মো. রাশেদুল আলম পেয়েছেন ৭৭৩ ভোট। ছাতা প্রতীক নিয়ে প্রতিন্দ›িদ্বতা করে ১৩৩৮ পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মো. শফিউল আলম। তার নিকটতম প্রতিন্দ›িদ্ব চেয়ার প্রতীক মো. নাজিম উদ্দিন পেয়েছেন ৮৭০ ভোট, হাতি প্রতীক মো. শোয়েব পেয়েছেন ২৮১ ও চাকা প্রতীক মো. জসিম উদ্দীন পেয়েছেন ২১৭ ভোট। গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে প্রতিন্দ›িদ্বতা করে ১৬০৫ ভোট পেয়ে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (১) পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো ইকবাল হোসেন, তার নিকটতম প্রতিন্দ›িদ্ব বই প্রতীক নিয়ে ১২০৪ ভোট পেয়ে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (২) পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. জাহাঙ্গীর আলম ও মই প্রতীক নিয়ে তাদের প্রতিন্দ›িদ্ব মো. মঈনুদ্দীন পেয়েছেন ১১১৩ ভোট। ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিন্দ›িদ্বতা করে করে ১৩৪৫ ভোট পেয়ে অর্থ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মো. আবদুল শুক্কুর ও তার নিকটতম প্রতিন্দ›িদ্ব টিউবওয়েল প্রতীক পেয়েছেন নুর মোহাম্মদ পেয়েছেন ১৩৩০ ভোট। টেলিফোন প্রতীক নিয়ে প্রতিন্দ›িদ্বতা করে ১৫০৯ সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ওজাইর আহমদ হামিদি। তার নিকটতম প্রতিন্দ›িদ্ব খেজুর গাছ প্রতীক মো. এরশাদ উল্লাহ সিকদার পেয়েছেন ৫৪৫ ভোট ও টেলিভিশন প্রতীক মো. সালিম উদ্দিন মেম্বার পেয়েছেন ৪৫৫ ভোট। মোরগ প্রতীক নিয়ে প্রতিন্দ›িদ্বতা করে ১২৮২ ভোট পেয়ে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. আবুল হাসেম সওদাগর ও তার নিকটতম প্রতিন্দ›িদ্ব টিয়া পাখি প্রতীক মো. আসলাম হোসেন পেয়েছেন ১১৯৯ ভোট। আপেল প্রতীক নিয়ে প্রতিন্দ›িদ্বতা করে ১৩১৩ ভোট পেয়ে প্রচার সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. দিদারুল আলম ও তার নিকটতম প্রতিন্দ›িদ্ব প্রজাপতি প্রতীক মোহাম্মদ এমরান পেয়েছেন ১১৯৪ ভোট।হাঁস প্রতীক নিয়ে প্রতিন্দ›িদ্বতা করে ১১৭৩ ভোট পেয়ে সাহিত্য সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ আইযুব পাভেল। তার নিকটতম প্রতিন্দ›িদ্ব ক্রিকেট ব্যাট প্রতীক মো. নাসির উদ্দিন তারেক পেয়েছেন ৭১৭ ভোট ও শাপলা প্রতীক মো. হোসেন মেহেদী পেয়েছেন ৬৬৪ ভোট। গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যক্ষ ফরিদ আহমদ ভোটার, প্রার্থী ও সমর্থদের জনসম্মুখে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন বলেন, প্রায় ৩ সহ¯্রাধিক ভোটার নির্বিঘেœ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন কোন প্রকার সহিংসতা ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে। এজন্য তিনি হাটহাজারী পৌরসভার ব্যবসায়ী, ভোটার, প্রার্থী ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্মকর্তা আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন জানান এবং বিজয়ী-বিজিতদের ভোটের ফলাফর মেনে নেওয়ার আহŸান জানান। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার ভোটার তালিকায় নানা অনিয়ম উল্লেখ করে হাটহাজারী পৌরসভা দোকানদার ব্যবসায়ী সমিতির ২০১৮-২০২০ সনের কার্যকারী সংসদ নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে তৃতীয় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে ব্যবসায়ী কাজী মো. এরশাদ উদ্দীন (ভোটার নম্বর ২৩৫৪) আবেদন করে। তবে বৃহস্পতিবার পূর্ব নির্ধারিত সময়ে নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞার উপর শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত ব্যবসায়ীর আবেদন খারিজ করে দিলে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
Powered by : Oline IT