নিজস্ব প্রতিনিধি, হাটহাজারীঃ হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নে সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত নিরাপদ হেফাজতি কেন্দ্র থেকে ৮ কিশোরী ও তরুণী রান্নাঘরের জানালার গ্রিল ভেঙে পালিয়ে গেছে।
গতকাল বুধবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে সকাল ৮টার দিকে স্থানীয় বাজার থেকে পালিয়ে যাওয়া সুমাইয়া (১৯) নামের এক তরুণীকে জনতা আটক করে কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের নিকট হস্তান্তর করে। পালিয়ে যাওয়া অপর ৭ হেফাজতির মধ্যে লিজামনি ও আরিফা ইসলাম নামের ২ জনের নাম জানা গেছে।
পালিয়ে যাওয়া হেফাজতিরা বিভিন্ন মামলার ভিকটিম, এদের সকলের বয়স ১২ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। গতরাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের আটক করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নে অবস্থিত সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিরাপদ হেফাজতি কেন্দ্র থেকে গত মঙ্গলবার রাতের শেষদিকে ৮ হেফাজতি কিশোরী ও তরুণী পালিয়ে যায়। দায়িত্বরতদের চোখ ফাঁকি দিয়ে কেন্দ্রের রান্নাঘরের পেছনের জানালার গ্রিল ভেঙ্গে রাতের আঁধারে বিভিন্ন মামলার ভিকটিম এসব নিরাপদ হেফাজতি কিশোরী ও তরুণী পালিয়ে যায়।
পরে সকাল ৮টার দিকে স্থানীয় নুর আলী মিয়ার হাট এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখে এলাকাবাসী পালিয়ে যাওয়া হেফাজতি তরুণী সুমাইয়াকে (১৯) আটক করে নিরাপদ হেফাজতি কেন্দ্রের দায়িত্বশীলদের নিকট হস্তান্তর করে। পালিয়ে যাওয়া ৭ হেফাজতির মধ্যে লিজামনি ও আরিফা ইসলাম নামের ২ জনের নাম জানা গেছে। গতরাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের আটক করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
সুত্রে জানা গেছে, ঘটনার রাতে হেফাজতি কেন্দ্রে কর্তব্যরত আনসার না থাকায় হেফাজতিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। রাত ২টা পর্যন্ত একজন আনসার সদস্য ডিউটিতে ছিলেন ডিউটি শেষে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ২টা থেকে যে আনসার সদস্যের ডিউটি ছিল তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় হেফাজতিরা পালানোর সুযোগ পায়।
তাছাড়া হেফাজতি কেন্দ্রের রান্নাঘরের পেছনের জানালার লোহার গ্রিল মরিচা ধরে নড়বড়ে হয়ে যাওয়াতে পালিয়ে-যাওয়া হেফাজতি মেয়েরা তা ধাক্কা দিয়ে সহজে ভেঙ্গে ফেলে।
জানতে চাইলে হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বেলাল উদ্দীন জাহাঙ্গীর গতরাতে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে তিনি বিষয়টি জানতে পেরেছেন।
বিষয়টি কর্তৃপক্ষ আদালতে অবগত করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশক্রমে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
Powered by : Oline IT