রাখাইন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের অবশ্যই মিয়ানমারকে ফেরত নিতে হবে বলে জোর দিয়েছেন ঢাকা সফররত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান হওয়াও দরকার।
রোববার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।
সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপকালে সুষমা রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে বলেন, মিয়ানমারকে অবশ্যই তাদের নাগরিকদের স্বদেশে ফিরিয়ে নিতে হবে। এটা বাংলাদেশের জন্য বোঝা। বাংলাদেশ এই বোঝা কতদিন বইবে? এর একটি স্থায়ী সমাধান হওয়া উচিত।
সংকটের স্থায়ী সমাধানে রাখাইনে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবদান রাখা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাখাইনে অস্থিতিশীলতার জন্য দায়ী সন্ত্রাসীদের শাস্তি হওয়া উচিত। কিন্তু এর জন্য নিরীহ লোকদের কেন শাস্তি পেতে হবে?
নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের প্রশংসাও করেন সুষমা।
তিনি এসময় প্রধানমন্ত্রীকে জানান, রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর (কার্যত সরকারপ্রধান) অং সান সু চিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে আপনার একটা উজ্জ্বল ভাবমূর্তি আছে, এটা নষ্ট করবেন না।’
সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী একাত্তর সালে বাংলাদেশের উদ্বাস্তুদের ভারতে আশ্রয় দেওয়ার কথা স্মরণ করেন। স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতার কথাও। সেজন্য দেশটির নেতৃত্ব ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
শেখ হাসিনা পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে উদ্বাস্তু হিসেবে দেশের বাইরে দীর্ঘদিন থাকার কথাও উল্লেখ করেন সাক্ষাতে।
ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলাপের বিষয়েও প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের