শনিবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আব্দুর রাজ্জাকের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
সেলিম বলেন, “আমার সাথে একমত হতে পারেন আবার নাও হতে পারেন। তবে আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে এটা বলতে পারি- বাংলাদেশে এই মৌলিক সংকট থেকে দূর হতে হলে এমনভাবে রাজনৈতিক ব্যবস্থাটা প্রতিষ্ঠিত হওয়া প্রয়োজন, যেখানে সরকারও হবে মুক্তিযুদ্ধপন্থি, বিরোধী দলও হবে মুক্তিযুদ্ধপন্থি।
“তাহলে পরে ক্ষমার হাত বদল হলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারা থেকে দেশ কোনো দিন বিপদে চলে যাওয়ার সংকট সৃষ্টি হবে না।”
আব্দুর রাজ্জাকের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, “রাজ্জাক ভাইয়ের রাজনীতিতে প্রবেশ ছাত্ররাজনীতির ভেতর দিয়ে। তখন ঘোরতর সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে এই দেশের সংগ্রাম গড়ে উঠেছিল। একটা সাধারণ লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য একসঙ্গে সংগ্রাম করার পথ ধরেই যে সম্পর্কের নৈকট্য স্থাপিত হয়েছে, সেটা আর্দশগত জায়গায় কতগুলো মিলের সৃষ্টি করেছিল।
“ষাটের দশকে আমি ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম এবং তখন রাজ্জাক ভাই ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন না, ছাত্র আন্দোলনের নেতা ছিলেন, আমি তাকে শুরু থেকেই চিনতাম।”
আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভার ব্যানারে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মুকুল বোস।
তিনি বলেন, “আজকে মুজিব বাহিনীর সৈনিক রাজ্জাক ভাইয়ের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী, আজকে বঙ্গবন্ধু এবং নেত্রী শেখ হাসিনার ফটো থাকা উচিত ছিল। আমি অনুরোধ করব, ভবিষ্যতে এগুলো যেন করা হয়। কারণ জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আওয়ামী লীগের হাল না ধরত তাহলে যুদ্ধাপরাধের বিচার হত না, দেশের উন্নয়ন হত না।”
আব্দুর রাজ্জাক স্মৃতি সংসদ ও ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, সংসদের সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাহালুন মজনুন চুন্নু, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমন সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন।
একে/এম