বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১০ পূর্বাহ্ন

        English
শিরোনাম :
চট্টগ্রামস্থ ছাগলনাইয়া সমিতির আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল বিশেষ অভিযানে ৬ গ্যাংয়ের ৩৩ জন আটক, দেশী অস্ত্র উদ্ধার ভালো আছেন খালেদা জিয়া ঈদকে ঘিরে জাল নোট গছিয়ে দিত ওরা কুতুব‌দিয়ায় নতুন জামা পেল ১৩৫ এতিম ছাত্র-ছাত্রী মানিকছড়িতে গণ ইফতার মাহফিল সীতাকুণ্ডে লরি চাপায় পথচারী যুবক নিহত সীতাকুণ্ডে পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু রামগড়ে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে বিজিবির পুরস্কার ও সনদ বিতরন লাইসেন্স বিহীন ফিলিং স্টেশন স্থাপন করে কার্ভাড ভ্যানে চলছে অবৈধ গ্যাস বিক্রি কাপ্তাই ব্লাড ব্যাংকের উদ্যোগে জনসচেতনতামূলক বিশেষ ক্যাম্পেইন জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে জাহাজের মালিকপক্ষের নতুন ঘোষণা
বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয়ের ধারণা অবাস্তব: আইনমন্ত্রী

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয়ের ধারণা অবাস্তব: আইনমন্ত্রী

সিটিজি জার্নাল নিউজঃ পৃথিবীর কোনও গণতান্ত্রিক-অগণতান্ত্রিক দেশে বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় নেই বলে উল্লেখ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে কী হবে, তা আমি বলে দিতে পারি না। এখন যে ব্যবস্থা বিদ্যমান, সেটিই বিচার বিভাগের জন্য ভালো। বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয়ের ধারণা বর্তমান পরিস্থিতিতে অবাস্তব।’ রবিবার ‘বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে’ সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ শুনানি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘রিভিউ করার অধিকার সংবিধান প্রত্যেককে দিয়েছে। সরকারকে বাদ দেয়নি। সে অধিকার নিয়ে রিভিউ করেছি। আপিল বিভাগ যখন মনে করবেন, তখন শুনানি হবে। আমরা রিভিউ করেছি, বাকিটা আপিল বিভাগের ওপর ছেড়ে দেব। আমরাও চাই, এ বিতর্কের নিরসন হোক। এটি সাবজুডিস বিষয়, এর বেশি কিছু বলতে চাই না।’

নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধিমালা প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সংবিধানে যে বিধি করার দায়িত্ব রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া হয়েছে, সেভাবেই করা হয়েছে। বিজ্ঞ নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলা নির্ধারণ করার বিষয়ে সংবিধানের ১১৬ ধারায় বলা আছে, রাষ্ট্রপতির কাছে এ ক্ষমতা থাকবে। তিনি সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। শৃঙ্খলাবিধি যখন আপিল বিভাগ গ্রহণ করলেন, তখন তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি তার আদালতের অভিমত স্পষ্ট প্রকাশ করেছেন। সেক্ষেত্রে গায়ে মানে না আপনি মোড়লদের বক্তব্য নিয়ে আমার কিছু করতে হবে বলে আমি মনে করি না। আমরা শৃঙ্খলাবিধি সবার গ্রহণযোগ্যভাবেই করেছি।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয়ের কথা বলা হচ্ছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর এবং ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে চার জাতীয় নেতাকে হত্যার পর ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স করা হয়েছিল। সেটি ২১ বছর বিদ্যমান ছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরও ২১বছর কোনও মামলা হয়নি। তখন কেউ স্যুয়োমটো বা পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন করেনি। অনেকেই বলেন, ১৯৭২ সালের ১১৬ অধ্যাদেশ ছিল, সেখানে ফিরে যাওয়া ও আলাদা বিচারিক সচিবালয় করা দরকার ছিল। আমার মনে হয়, যেটি বিদ্যমান আছে, সেটিই বিচার বিভাগের জন্য শ্রেয়।’

একে/এম

Please Share This Post in Your Social Media

Powered by : Oline IT