রাজধানীর বাড্ডায় জোড়াখুনের ঘটনায় নিহত জামিলের স্ত্রী আরজিনা বেগম পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্নরকম তথ্য দিয়েছেন। অসংলগ্ন কথাবার্তার কারণে তাকে সন্দেহ করেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সকালে উত্তর বাড্ডার ময়নারবাগ কবরস্থান রোডের একটি বাড়ি থেকে জামিল শেখ (৩৮) ও তার মেয়ে নুসরাতের (৯) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জামিলের স্ত্রী আরজিনা বেগমকে (২৮) আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ধারণা করছে, ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করে জামিলকে খুন করা হয়েছে। আর এ ঘটনা দেখে ফেলায় মেয়ে নুসরাতকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
ময়নারবাগের ৩০৬ নম্বর তৃতীয় তলার বাড়ির ছাদে চিলেকোঠার ভাড়া বাসায় তাদের খুন করা হয়। গত বছরের অক্টোবর থেকে পেশায় গাড়িচালক জামিল স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে এ বাসায় থাকতেন। তাদের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের বনগ্রাম এলাকায়।
ঘটনার বর্ণনায় জামিলের গ্রামের প্রতিবেশী ও ময়নারবাগের বাসিন্দা তুহিন বাংলানিউজকে বলেন, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে অফিসে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হলে লোকজনকে বলতে শুনি, জামিলকে মেরে ফেলেছে। তারপর জামিলের ঘরে প্রবেশ করে দেখি, খাটের উপর জামিলের মাথা দিয়ে রক্ত পড়ছে এবং নুসরাতের মুখের উপর একটি বালিশ রাখা। তাদের মাঝখানে জামিলের ছেলে আলভি (৫) বসা অবস্থায় ছিল। তাদের পাশে একটি কাঠের টুকরা পড়ে ছিল, কিন্তু কোনো ধারালো অস্ত্র দেখিনি।
জামিলের স্ত্রী আরজিনা রুমের বাইরে ছাদের এক কোনায় বসে নিচুস্বরে কাঁদছিলেন। তার শরীরে রক্ত এবং হাতে আঁচড়ের দাগ ছিল।
বাসার বিপরীত দিকে মসজিদ দেখিয়ে তিনি বলেন, ভোরবেলা মানুষজন নামাজ পড়তে এসে এই বাসা থেকে হালকা কান্নার আওয়াজ পাচ্ছিলেন। এরপর তারা বাড়িওয়ালাকে বললে বাড়িওয়ালার স্ত্রী ছাদে গিয়ে এ অবস্থা দেখলে ঘটনা জানাজানি হয়।
তিনি বলেন, এ অবস্থা দেখে আমি জামিল ভাইয়ের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলাম- কিভাবে হল? তিনি একবার বলেন, ডাকাত আসছিল। আরেকবার বলেন, রাত ১১টায় কয়েকজন লোক এসে তার হাত-পা বেঁধে তার স্বামী ও মেয়েকে খুন করে চলে গেছে। তখন তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কাউকে ডাকেননি কেন?
Powered by : Oline IT