সিটিজি জার্নাল নিউজঃ ফেনী সদর হাসপাতালে ফেলে যাওয়া সেই মেয়ে শিশুটিকে দত্তক নিতে ১১ দম্পতি আবেদন করেছেন। শিশুটির ঠোঁটের অপারেশনও সম্পন্ন হয়েছে। তার নাম রাখা হয়েছে জান্নাত নূর। ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করে আইনগতভাবে দত্তক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
শিশুটির সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘অপারেশন করার পর এখন জান্নাতের ঠোঁটকাটা তেমন বোঝা যাচ্ছে না। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সে স্বাভাবিক শিশুদের মতো হয়ে যাবে।’
সিভিল সার্জন জানান, গত ২১ ডিসেম্বের ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের সিঁড়ির নিচ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ২ মাসের শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছিল। ওইদিন হাসপাতালে আসা রোগীদের স্বজনরা সিঁড়ির নিচে শিশুটিকে দেখতে পেয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘স্মাইল ট্রেন’ ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘উই ক্যান চেঞ্জ ইয়ুথ সোসাইটি’র সহযোগিতায় শিশুটিকে ঢাকায় নিয়ে ঠোঁটের অপারেশন করানো হয়। তার নাম রাখা হয় জান্নাত নূর।
প্লাস্টিক সার্জন অধ্যাপক ডা. বিকে দাস বিজয় বলেন, ‘ঠোঁটকাটা জন্মগত রোগ হলেও বর্তমানে বিনামূল্যে এর চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাচ্ছে।’
শিশুটি ‘উই ক্যান চেঞ্জ ইয়ুথ সোসাইটি’র স্বেচ্ছাসেবক মনজিলা আক্তার মিমির নিবিড় তত্ত্বাবধানে রয়েছে। মিমি বলেন, ‘আমি চাই শিশুটি তার আপন বাবা-মায়ের কাছে ফিরে যাক অথবা সক্ষম অভিভাবকের কাছে তাকে তুলে দেওয়া হোক।’
ফেনী পৌরসভার প্যানেল মেয়র আশ্রাফুল আলম গিটার বলেন, ‘শিশুটির লালন-পালন ও চিকিৎসার জন্য তারা সবসময় আন্তরিক ছিলেন।’
একে/এম
Powered by : Oline IT