দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টিকারী তালসরা দরবার শরীফের টাকা লুটের মামলার বিচার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। এই নিয়ে মামলাটির কার্যক্রম দ্বিতীয় দফায় বন্ধ হল।
বৃহস্পতিবার (০২ নভেম্বর) চট্টগ্রামের পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নূরে আলমের আদালতে নির্ধারিত সাক্ষ্যগ্রহণের দিনে স্থগিতাদেশের কপি জমা দেওয়া হয়েছে। এর ফলে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।
মামলার প্রধান আসামি লে.কর্নেল (চাকুরিচ্যুত) জুলফিকার আলী মজুমদারের আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গত ২৪ অক্টোবর মামলাটির কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। হাইকোর্টে আবেদনের বিষয়টি উত্থাপন করায় গত ২৩ অক্টোবর প্রথম দফায় সাক্ষ্যগ্রহণও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
আসামিপক্ষের আইনজীবী রফিকুল আহসান বলেন, সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আদালতে মামলাটি উত্থাপিত হলে আমরা স্থগিতাদেশের কপি জমা দিয়েছি। তখন আদালত সাক্ষ্যগ্রহণ হবে না বলে আদেশ দেন। এরপর আদালত আগামী বছরের ২৩ এপ্রিল সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারণ করেন।
চাঞ্চল্যকর এই মামলার অভিযোগপত্র দাখিলের পর আসামি ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট (চাকুরিচ্যুত) শেখ মাহমুদুল হাসানের বাতিলের আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের আদেশে ২০১২ সালের ২৮ নভেম্বর থেকে এর কার্যক্রম স্থগিত ছিল। চলতি বছরের ১৭ আগস্ট বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। এরপর মামলাটি আবার সচল হয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বিচারিক আদালত।
২০১১ সালে ৪ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার তালসরা দরবার শরীফে অভিযান চালায় র্যাব-৭ এর একটি বিশেষ টিম। এসময় দরবার থেকে দুই কোটি সাত হাজার টাকা লুটের অভিযোগ উঠে। ঘটনার প্রায় সাত মাস পর ২০১২ সালের ১৩ মার্চ দরবারের গাড়িচালক মো.ইদ্রিস বাদি হয়ে ১২ জনের বিরুদ্ধে আনোয়ারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
২০১২ সালের ১৫ জুলাই সাতজন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন আনোয়ারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুস সামাদ।
অভিযোগপত্রে যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন, র্যাব-৭ এর তৎকালীন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (চাকরিচ্যুত) জুলফিকার আলী, উপ-অধিনায়ক ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট (চাকরিচ্যুত) শেখ মাহামুদুল হাসান মজুমদার, সুবেদার মোহাম্মদ আবুল বশর, এসআই তরুন কুমার বসু, সোর্স মো. দিদারুল আলম, মো. আনোয়ার ও মানত বড়ুয়া।
Powered by : Oline IT