বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩৫ অপরাহ্ন

        English
শিরোনাম :
চট্টগ্রামস্থ ছাগলনাইয়া সমিতির আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল বিশেষ অভিযানে ৬ গ্যাংয়ের ৩৩ জন আটক, দেশী অস্ত্র উদ্ধার ভালো আছেন খালেদা জিয়া ঈদকে ঘিরে জাল নোট গছিয়ে দিত ওরা কুতুব‌দিয়ায় নতুন জামা পেল ১৩৫ এতিম ছাত্র-ছাত্রী মানিকছড়িতে গণ ইফতার মাহফিল সীতাকুণ্ডে লরি চাপায় পথচারী যুবক নিহত সীতাকুণ্ডে পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু রামগড়ে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে বিজিবির পুরস্কার ও সনদ বিতরন লাইসেন্স বিহীন ফিলিং স্টেশন স্থাপন করে কার্ভাড ভ্যানে চলছে অবৈধ গ্যাস বিক্রি কাপ্তাই ব্লাড ব্যাংকের উদ্যোগে জনসচেতনতামূলক বিশেষ ক্যাম্পেইন জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে জাহাজের মালিকপক্ষের নতুন ঘোষণা
‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে গণতন্ত্র সমর্থন করে না’

‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে গণতন্ত্র সমর্থন করে না’

সিটিজি জার্নাল নিউজঃ দেশের জনগণ আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ দেখতে চায় তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো অনির্বাচিত সরকারকে গণতন্ত্র সমর্থন করে না। এ মন্তব্য করেছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মো. আবদুর রশীদ।

শনিবার গুলশান-২-এ একটি হোটেলে ‘গণতন্ত্রের নির্বাচন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন,‘আমরা সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। তত্ত্বাবধায়ক বা সহায়ক সরকার মানে হচ্ছে অনির্বাচিত সরকারের  দেশে পরিচালনা করা। এটা গণতন্ত্র সমর্থন করে না। ’

আলোচনা সভায় সাবেক বিচারপতি শামসুল হুদা বলেন,‘নির্বাচন থেকে যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের আইন করে বাইরে না রেখে সামাজিক ও নৈতিকভাবে কিভাবে বর্জন করা যায় সেই চিন্তা করতে হবে আমাদের। নির্বাচন কমিশন আইন মেনে চললে সুষ্ঠু নির্বাচন করা অসম্ভব হবে না।’

অনুষ্ঠানে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে পরিষ্কার করে বলতে হবে তারা কী ধরনের বাংলাদেশ ও সমাজ ব্যবস্থা দেখতে চায় ।

নিজেরা করি-এর সাধারণ সম্পাদক খুশী কবীর বলেন,‘জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত ৫০টি আসন না রেখে সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি দল থেকে কমপক্ষে ৪০টি আসনে নারীদের সরাসরি মনোনয়ন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান বলেন,‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড মানে হচ্ছে নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করবে আর আওয়ামী লীগ পরাজয় বরণ করবে―এটাই বোঝাতে চান আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবীরা।’

ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন,‘নির্বাচন যেন করতে পারি সেই ব্যবস্থা থাকতে হবে। যে কোনও দল নির্বাচন বর্জন করতে পারে। তবে সেই দলের আন্দোলনের কারণে রাষ্ট্রের সম্পদ ও মানুষ হত্যা করা হলে তার দায় কে নেবে সেই ব্যবস্থা নির্দিষ্ট থাকতে হবে।’

একাত্তর টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু বলেন,‘৫ জানুয়ারির সরকারের বড় ব্যর্থতা হচ্ছে তারা ভোটারদের নিরাপদে ভোট কেন্দ্র যাওয়ার ব্যবস্থা করতে ও ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে পারে নাই। এর বাইরে এই সরকারের আর কোনও ব্যর্থতা নেই আমার চোখে।’

এছাড়া আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞানের শিক্ষক ড. জিয়াউর রহমান,সমকালের সহযোগী সম্পাদক অজয় দাশগুপ্ত প্রমুখ।

একে/এম

Please Share This Post in Your Social Media

Powered by : Oline IT