বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৫৭ অপরাহ্ন

        English
শিরোনাম :
চট্টগ্রামস্থ ছাগলনাইয়া সমিতির আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল বিশেষ অভিযানে ৬ গ্যাংয়ের ৩৩ জন আটক, দেশী অস্ত্র উদ্ধার ভালো আছেন খালেদা জিয়া ঈদকে ঘিরে জাল নোট গছিয়ে দিত ওরা কুতুব‌দিয়ায় নতুন জামা পেল ১৩৫ এতিম ছাত্র-ছাত্রী মানিকছড়িতে গণ ইফতার মাহফিল সীতাকুণ্ডে লরি চাপায় পথচারী যুবক নিহত সীতাকুণ্ডে পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু রামগড়ে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে বিজিবির পুরস্কার ও সনদ বিতরন লাইসেন্স বিহীন ফিলিং স্টেশন স্থাপন করে কার্ভাড ভ্যানে চলছে অবৈধ গ্যাস বিক্রি কাপ্তাই ব্লাড ব্যাংকের উদ্যোগে জনসচেতনতামূলক বিশেষ ক্যাম্পেইন জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে জাহাজের মালিকপক্ষের নতুন ঘোষণা
ট্রাম্পের নতুন পাকিস্তান-নীতির বাস্তবায়ন শুরু!

ট্রাম্পের নতুন পাকিস্তান-নীতির বাস্তবায়ন শুরু!

বিগত মার্কিন প্রশাসনগুলো সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াইয়ের যৌথ সহযোগিতার নামে পাকিস্তানকে হাজার হাজার কোটি ডলার দিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছে। ট্রাম্প প্রশাসন তার ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন। নিয়ন্ত্রণ আরোপে এবার অর্থ সহায়তা স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। দুই দেশের কূটনৈতিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে দক্ষিণ এশীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, এটাই ট্রাম্পের নতুন পাকিস্তান নীতি।

যুক্তরাষ্ট্র আর তাদের মিত্ররা দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন পাকিস্তান আফগান তালেবান ও তাদের মিত্র হাক্কানি নেটওয়ার্ককে নিরাপদ স্বর্গ গড়ে তুলতে দিয়েছে। আর সন্ত্রাসীরা তা ব্যবহার করে সীমান্ত অতিক্রম করে আফগানিস্তানে হামলা চালাচ্ছে। পাকিস্তান বরাবর এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসলেও ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে সমালোচনা কঠোর করেছেন। কূটনৈতিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে পাকিস্তানভিত্তিক ডন দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন আফগান নীতির মূল লক্ষ্য সামরিকভাবে তালেবানকে পরাজিত করা এবং কাবুলের শর্ত মোতাবেক তাদেরকে আফগান শান্তি প্রক্রিয়ায় যোগ দিতে বাধ্য করা।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় ইকোনমিক টাইমস বলছে, পাকিস্তান আর আফগানিস্তানে ‘সন্ত্রাসীদের অভয়াশ্রমগুলো’ ধ্বংস করার পরিকল্পনা করছে বর্তমান প্রশাসন। ট্রাম্প প্রশাসনের এক উর্দ্ধতন কর্মকর্তার মন্তব্য: এটাই ট্রাম্পের নতুন নীতি।

সম্প্রতি এক টুইটার বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও সন্ত্রাসবাদে মদদের অভিযোগ তোলার পর ৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর থেকে সাহায্য বন্ধের ঘোষণা আসে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস জানান অর্থ সহায়তা বন্ধ হলেও পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলবে যুক্তরাষ্ট্র। আর পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব তাহমিনা জানজুয়া গত শনিবার স্পষ্ট করেছেন, এই অঞ্চলে মার্কিন উপস্থিতির কারণেই তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলতে চায় পাকিস্তান।

২০০৯ সালে তৎকালীন ওবামা প্রশাসনের সঙ্গে একটি সহায়তা প্যাকেজ স্বাক্ষর করে পাকিস্তান। কেরি-লুগার বিল নামে স্বাক্ষরিত এই চুক্তিতে পাকিস্তানকে পরবর্তী পাঁচ বছরে ৭৫০ কোটি ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রাম্প প্রশাসনের ওই কর্মকর্তা ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দি ইকোনোমিক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে অভিযোগ করেছেন, “আগের প্রশাসনগুলো ‘কেরি-লুগার-বারম্যান’ বিলের আওতায় পাকিস্তানকে হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের ওই কর্মকর্তা বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন এখন ভিন্ন চিন্তা করছে। এই প্রশাসন বিশ্বাস করে এখন ভিন্ন কিছু চেষ্টা করার সময়। আফগানিস্তানে উন্নতি করতে হলে, সন্ত্রাসীদের অভয়াশ্রমগুলো এড়িয়ে যাওয়া যায় না। তিনি আরও বলেন, আফগানিস্তানকে স্থিতিশীল করার প্রতিশ্রুতি  প্রেসিডেন্ট পরিস্কার করেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Powered by : Oline IT