সেই হিসেবে এবার এ পরীক্ষায় পাসের হার বড় পতন হয়েছে, সঙ্গে কমেছে পূর্ণাঙ্গ জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শনিবার দুপুরে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এবারের ফলাফলের পরিসংখ্যান তুলে দেন।
আট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জেএসসিতে এবার পাসের হার ৮৩ দশমিক ১০ শতাংশ। আর মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে জেডিসিতে পাসের হার ৮৬ দশমিক ৮০ শতাংশ।
গত বছর জেএসসি-জেডিসিতে সম্মিলিতভাবে ৯৩ দশমিক ০৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করে। এর মধ্যে জেএসসিতে ৯২ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং জেডিসিতে ৯৪ দশমিক ০২ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়।
জেএসসি-জেডিসিতে এবার মোট এক লাখ ৯১ হাজার ৬২৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে । এর মধ্যে জেএসসিতে এক লাখ ৮৪ হাজার ৩৯৭ জন এবং জেডিসিতে সাত হাজার ২৩১ জন পূর্ণ জিপিএ পেয়েছে।
জেএসসি-জেডিসি মিলিয়ে গতবছর দুই লাখ ৪৭ হাজার ৫৫৮ জন পূর্ণ জিপিএ পেয়েছিল।
অষ্টমের সমাপনী পরীক্ষায় এবার অংশ নিয়েছিল ২৪ লাখ ৬৮ হাজার ৮২০ জন শিক্ষার্থী। বেশিরভাগ পরীক্ষার প্রশ্নই এবার পরীক্ষার আগে ফেইসবুকে পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ আসে।
শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ দুপুর ২টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এবারের জেএসসি-জেডিসির ফলাফলের ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরবেন। তার সংবাদ সম্মেলনের পরেই শিক্ষাথীরা ফল জানতে পারবে।
যে কোনো মোবাইল থেকে JSC/JDC লিখে স্পেস দিয়ে নিজ বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৭ লিখতে এসএমএস করলে ফিরতি এসএমএসে জেএসসি/জেডিসির ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।
এছাড়া শিক্ষাবোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট (http://www.educationboardresults.gov.bd) এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকেও জেএসসি-জেডিসির ফল জানা যাবে।
সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ই-মেইলেও জেএসসি-জেডিসির ফলাফলের সফটকপি পাঠাবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড। প্রয়োজনে এদের কাছ থেকেও ফলাফলের কপি সংগ্রহ করা যাবে বলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি জানিয়েছে।
একে/এম