সিটিজি জার্নাল নিউজঃ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শাহমীরপুর গ্রামে চার নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশের আংশিক ব্যর্থতা ছিলো বলে জানিয়েছেন মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ কমিশনার হারুন-উর-রশিদ হাজারী। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) কর্ণফুলী থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের আংশিক ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘ঘটনা জানতে পুলিশের একটু দেরি হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।’
ঘটনার পাঁচ দিন পর মামলার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিএমপি উপ কমিশনার বলেন, ভিকটিমরা কিছু তথ্য ভুল দেওয়ায় মামলা নিতে দেরি হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার হওয়া মোহাম্মদ সুমন ওরফে আবুকে ভিকটিমরা শনাক্তও করেছে।
আসামিদের কেন রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা টেস্ট আইডেন্টিফিকেশন (টিআই) প্যারেডকে গুরুত্ব দিচ্ছি। রিমান্ডে নিলে টিআই প্যারেডের গুরুত্ব কমে যাবে। গ্রেফতার আবুর সঙ্গে ভিকটিমদের অনেক তথ্যের মিল পাওয়া গেছে।’
এ ঘটনায় ওসির গাফিলতির বিষয়ে হারুন-উর-রশিদ হাজারী বলেন, এ বিষয়ে সিএমপি কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা করে তদন্ত করা হবে। গাফিলতি পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে পুলিশি সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর রাতে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শাহমীরপুর গ্রামের এক বাড়িতে ডাকাতির পর চার নারীকে ধর্ষণ করে তারা। ধর্ষিত চার নারীর তিন জন সম্পর্কে জা হন, অন্যজন তাদের ননদ, তিনি ওই বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। ধর্ষিতদের মধ্যে একজন ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানান। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ওই দিন রাত ১টার দিকে জানালার গ্রিল কেটে ডাকাতরা ঘরে প্রবেশ করে। ভোর ৪টা পর্যন্ত তারা ওই ঘরে ছিলেন। প্রথমে ডাকাতদল ঘরে থাকা স্বর্ণালঙ্কার এবং টাকা হাতিয়ে নেয়, পরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চার নারীকে ধর্ষণ করে। তারা ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৫টি দামি মোবাইল সেট ও নগদ ৮৭ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
একে/এম
Powered by : Oline IT