সকাল ১০টার দিকে তিনি বলেন, ভোরে বাথরুমে যাওয়ার সময় পড়ে গিয়েছিলেন তার বাবা। তারপর তার আর কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া মৃত্যুর সঠিক কারণ বলতে না পারলেও লেলিনের ধারণা, স্ট্রোক করে পড়ে গিয়েই মারা গেছেন তার বাবা।
তিনি বলেন, ”ভোর ৪টা পর্যন্ত আমি বাবার সঙ্গেই ছিলাম। ৪টার পর উনাকে ঘুম পাড়িয়ে আমি ঘুমাতে যাই। ৬টার দিকে বাথরুমে যেতে গিয়ে পড়ে যান। স্ত্রীর ডাকে তাৎক্ষণিক ঘুম ভেঙে দেখি বাবা আর নেই। হাসপাতালেও নেওয়ার সুযোগও পাইনি আমরা।”
দুপুর পর্যন্ত প্রয়াত এ অভিনেতার মরদেহ কল্যাণপুরের বাসাতেই রয়েছে। সকাল থেকেই আত্মীয়-স্বজনরা শেষবারের মতো তাকে দেখতে ভিড় করছেন।
প্রবীণ এ অভিনয়শিল্পীর প্রয়াণে চলচ্চিত্রাঙ্গণে তৈরি হয়েছে শোকের আবহ।
চিত্রনায়ক ওমর সানি বলেন, “উনি আমার বাবার বন্ধু। বাবার মতো স্নেহ করেছেন। আজ যেন মাথার উপর থেকে ছায়াটা সরে গেল। কিছুতেই মানতে পারছি না।”
১৯৬২ সালে নবম শ্রেণির ছাত্রকালীন অভিনয় জগতে আসার পর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রায় পঞ্চাশ বছর অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেনসিরাজ হায়দার।
অভিনয় জীবনের শুরুতে মঞ্চে কাজ করলেও ‘সুখের সংসার’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে বড়পর্দায় পা রাখেন তিনি। এতে খল চরিত্রে অভিনয় করেন। অভিনয়ের পাশাপাশি দুটি চলচ্চিত্র পরিচালনাও করেছেন।
কাজের প্রয়োজনে প্রিয় কর্মকেন্দ্র এফডিসিতে যিনি দিনের পর দিন কাটিয়েছেন, মৃত্যুর পর সেই সিরাজ হায়দারকে শেষবারের মতো সেখানে নেওয়া হবে বৃহস্পতিবারই।
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার জানান, জোহরের পর তার জানাজা হবে। এতে তার দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন।
জানাজা শেষ করেই মরদেহ গ্রামের মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুরে নেওয়া হবে। সেখানেই তাকে সমাহিত করা হবে বলে জানান লেলিন হায়দার।
একে/এম