সিটিজি জার্নাল রির্পোটঃ সরকারি খাতে আমদানিকৃত চট্টগ্রামে খাদ্য বিভাগের ৬১ হাজার মেট্রিকটন গমের মধ্যে ৩৩শ ৫৩টন গমের হিসাব মিলছেনা। এই বিষয়ে খাদ্য অধিদপ্তর থেকে চট্টগ্রামের চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক (খাদ্য) কে শোকজ করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাশিয়া থেকে ৩টি জাহাজ যোগে ৬১ হাজার ৫শ ৩৬ মেট্রিক টন গম আমদানি করা হয়।
জাহাজ ৩টি যাথাক্রমে MV River Globe, MV spar Virgo, MV Dubai Knight| জাহাজ থেকে সরকারি খাতে আমদানিকৃত এই গম গুলো খালাসে যথাযত নিয়ম অনুসরন করা হয়নি বলে জানা গেছে। যার কারনে চট্টগ্রাম থেকে খালাসকৃত গম গুলোর মধ্যে প্রায় ৩৩শ ৫৩ মেট্রিক টন গমের হিসাব মিলছেনা। আমদানিকৃত এই ৩টি জাহাজের চালানের ৬১ হাজার ৫শ ৩৬ মেট্রিক টন গমের বিপরিতে নারায়নগঞ্জের সাইলোতে জমা হয়েছে ৫৮ হাজার ১শ ৮২ মেট্রিক টন গম। উক্ত বিষয়টি খাদ্য অধিদপ্তরের নজরে আসলে চট্টগ্রামের চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক (খাদ্য) কে শোকজ করা হয়। শোকজে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
খাদ্য অধিদপ্তর থেকে ২৭ নভেম্বর ইসুকৃত শোকজে খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক চিত্ররঞ্জন বেপারি ৭ কার্য দিবসের মধ্যে চট্টগ্রামের চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক (খাদ্য) (সিএমএস) কে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা চট্টগ্রামের চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক (খাদ্য) (সিএমএস) মোঃ জহিরুর ইসলাম চট্টগ্রামের খাদ্য বিভাগের গম গরমিলের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ৩টি জাহাজে আসছে ৫৮ হাজার ১শ ৮২ মেট্রিক টন গম। নারায়নগঞ্জের সাইলোতে জমা হয়েছে ৫৮ হাজার ১শ ৮২ মেট্রিক টন গম। তবে আমদানিকৃত ৩টি জাহাজে ৬১ হাজার ৫শ ৩৬ মেট্রিক টন আসার প্রোগরাম ছিল। খাদ্য গরমিলের বিষয়ে কেন তাঁকে শোকজ করা হয়েছে এই বিষয়ে তিনি মন্তব্য করতে চাননি।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে খাদ্য বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, সরকারি খাতে এই আমদানিকৃত গম খালাসে MOU অনুসারে নিয়ম মোতাবেক খালাস প্রক্রিয়া অনুসরন করা হয় নি। এ ছাড়া উক্ত গম খালাসে যাথাযত নিয়মে বীমা’র টাকা পরিশোধ করা হয়নি। অবশ্য শিপিং এজেন্ট ভবিষ্যতে এ ধরনের ভুল হবে না বলে জানিয়েছে।
এদিকে নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন ব্যবসায়ী জানান, গরমিল পাওয়া ৩৩শ ৫৩ মোট্রক টন গমের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৭ কোটি টাকা।
Powered by : Oline IT