নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়াঃ কক্সবাজারের চকরিয়ায় স্বশস্ত্র হামলা চালিয়ে পারিবারিক শ্মশানের জায়গা জবর দখলের চেষ্টা ও বসতবাড়ি ভাংচুর করে গাছ কেটে লুটের ঘটনা ঘটেছে। চকরিয়া পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের দিগরপানখালী হিন্দুপাড়া এলাকায় মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
এ নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার ও শ্মশান পক্ষের মৃত ননী গোপাল দাশের পুত্র নির্মল কান্তি দাশ (৫০) বাদী হয়ে বুধবার চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি সিআর মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সাবেক পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরসহ ১৮জনকে আসামি করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন, সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও মৃত অন্নদা চরণ দাশের পুত্র লক্ষণ কান্তি দাশ, মৃত মহেন্দ্র লাল দাশের পুত্র বিবেকানন্দ দাশ, রশিদ আহমদের পুত্র বশির আহমদ, মো. সিরাজের পুত্র সাইফুল ইসলাম, হাসেম মিয়ার পুত্র মো. আব্বাস ও মৃত ধৈর্য্য কুমার দে’র পুত্র কমল হরি দে প্রকাশ মন্টুসহ অজ্ঞাত আরো ১০-১২জনকে। আদালতের বিচারক বাদীর সিআর মামলার অভিযোগটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ঘটনাটি তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আর্জিতে বাদী নির্মল কান্তি দাশ অভিযোগ করেন, গত ১২ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে অভিযুক্তরা অতর্কিতভাবে দিগরপানখালী মৌজার বিএস ২৬১নং খতিয়ানের দাগাদিতে দীর্ঘ ৫০ বছরের পুরনো শ্মশান(মন্দির)ও বসতভিটায় ঢুকে জবর দখলের চেষ্টা চালায়।
এসময় তাদের বাধা দিতে গিয়ে বাদীর বড় ভাইয়ের স্ত্রী নিরবালা দাশকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। তিনি আরো বলেন, ঘটনার সময় সন্ত্রাসীরা বসতভিটায় রোপিত দেড় লক্ষ টাকা মূল্যের ৩০টি মতো আম গাছ, মেহগনি, ফলদ ও বনজ গাছ কেটে লুট করে এবং দু’টি গ্রামীণ ঘর ও মন্দির(শশ্মান) ভেঙ্গে অন্তত আরো ২লাখ ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে জমি জবর দখলে নেয় বলে তিনি জানান।
Powered by : Oline IT