সিটিজি জার্নাল নিউজঃ তিন বছর আগে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ঢেমশা এলাকায় মো. শহীদুল্লাহ নামের এক পোশাককর্মীকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখা হয়। এই ঘটনায় করা মামলায় থানা-পুলিশ ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) রহস্য উদ্ঘাটন করতে না পেরে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। আদালত তা গ্রহণ না করে তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করে। এক নারীর সঙ্গে থাকা ছবি ইন্টারনেটে ছড়ানোর হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগে পরিকল্পনা করে শহীদুল্লাহকে খুন করা হয়।
গত সোমবার প্রীতি বণিক নামের ওই নারীকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। প্রীতি বণিক গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম জয়ন্তী রানি রায়ের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রামের পরিদর্শক ওমর ফারুক বলেন, গত বছরের ডিসেম্বরের শুরুতে পিবিআই মামলাটি তদন্ত শুরু করে। একটি মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে নিহত ব্যক্তির সঙ্গে প্রীতি বণিকের যোগাযোগ থাকার তথ্য পাওয়া যায়। সোমবার প্রীতি বণিককে আটকের পর তিনি এই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে তাঁকে আদালতে হাজির করা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তিনি স্বীকার করেন, পোশাককর্মী শহীদুল্লাহর সঙ্গে মোবাইল ফোনে তাঁর পরিচয় হয়। একপর্যায়ে দুজনের মধে৵ প্রেমের সম্পর্ক হয়। শহীদুল্লাহ তাঁদের সম্পর্কের বিভিন্ন ছবি ইন্টারনেটে ছড়ানোর হুমকি দিয়ে টাকা দাবি করতে থাকেন। তাঁকে কিছু টাকা দেওয়া হয়। একপর্যায়ে আরও টাকা দাবি করলে প্রীতি তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে পরিকল্পনা করে শহীদুল্লাহকে তাঁদের গ্রামের বাড়ি সাতকানিয়ায় নিয়ে যান। ২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর রাতে সেখানে একটি কবরস্থানের পাশে তাঁকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে দেন।
ওমর ফারুক আরও বলেন, প্রীতি বণিকের ভাইকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নিহত শহীদুল্লাহর বাড়ি খুলনায়। তিনি টঙ্গীতে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
একে/এম
Powered by : Oline IT