দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়।
আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ভূঁইয়া। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
জরুরি অবস্থার সময়ে দুদকের দায়ের করা এ মামলা বর্তমানে ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে বিচারাধীন। বর্তমানে মামলাটি খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের পর্যায়ে রয়েছে।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, যে আদালতে মামলার বিচার চলছে, আপিল বিভাগের আদেশের ফলে সেখানেই তা চলবে।
জিয়া এতিমখানা মামলার আদালত পরিবর্তন চেয়ে গত ৬ আগস্ট হাই কোর্টে আাবেদনটি করেন খালেদার আইনজীবী জাকির হোসেন ভূইয়া।
সেদিন খালেদা জিয়ার আইনজীবী দলের সদস্য মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেছিলেন, “ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা থেকে আদালত পরিবর্তনের আবেদন করা হয়েছে।”
সে আবেদনে সাড়া না দিয়ে গত ২০ আগস্ট বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাই কোর্ট বেঞ্চ নিষ্পত্তি করে আদেশ দেয়।
আর্থাৎ মামলাটি যে আদালতে বিচারাধীন সে আদালতে রেখেই কিছু পর্যবেক্ষণসহ আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দেওয়া হয়।
রোববার দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে সে আদেশের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিলের শুনানি শেষ হয়। আর সোমবার আপিল বিভাগ তা খারিজ করে আদেশ দেয়।
খালেদা জিয়ার আবেদনে এর আগেও তিনবার এ মামলার বিচারক বদলে দিয়েছিল হাই কোর্ট। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে, যাকে বিচার বিলম্বিত করার চেষ্টা হিসেবে দেখছে দুদক।
এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট মামলা দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। তদন্ত শেষে দুদক ২০০৯ সালের ৫ অগাস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
তার পাঁচ বছর পর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করে খালেদাসহ ছয় আসামির বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।