সিটিজি জার্নাল নিউজঃ চট্টগ্রামে মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানিতে মেজবান খেতে গিয়ে কেন এবং কিভাবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো? প্রত্যক্ষদর্শী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র জানায়, ঘটনাটি ঘটেছে একটি পাহাড়ের ঢালে, যেখান থেকে কমিউনিটি সেন্টারটির অবস্থান আরও ঢালুতে। প্রবেশ পথে রয়েছে ইট বিছানো। কিছুটা পিচ্ছিলও ছিল সেই পথ। সামনে সড়কে ছিল যানজট। পেছনের দরজা দিয়ে খেয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন অনেকে। আগতদের মধ্যে ছিল খাবার ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। এসব কারণে হুড়োহুড়ির সৃষ্টি। পদদলিত হয়ে মারা যায় ১০ জন, আহত হন ৫০ জন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মূল সড়ক থেকে দু’দফায় ঢালু পথ অতিক্রম করে রিমা কমিউনিটি সেন্টারে প্রবেশ করতে হয়। প্রবেশের দুটো গেট রয়েছে। সকাল সাড়ে ১১টা থেকে পেছনের গেট দিয়ে কিছু লোক ঢোকে এবং খেয়েদেয়ে তারা বেরিয়েও যায়। ঘটনার আগ মুহূর্তেও কিছু ভিআইপি লোককে পেছনের গেট দিয়ে ভেতরে ঢাকানো হচ্ছিল। এতে করে সামনের গেটে আগতদের মধ্যে হা-হুতাশ দেখা দেয়। তারা মনে করে, হয়তো খাবার ফুরিয়ে যেতে পারে। তখনই শুরু হয় তাড়াহুড়ো। সবাই একসঙ্গে ভেতরে ঢোকা চেষ্টা করতে থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা মতে, একই সময়ে কমিউনিটি সেন্টারের সামনের ওই সড়কে ছিল যানজট। এতে করে প্রবেশ পথে চাপ আরও বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে সামনের কয়েকজন পড়ে যান। তাদের শরীরের ওপর দিয়ে অন্যরা ভেতরে প্রবেশ করতে থাকে। ফলে ঘটে যায় মর্মান্তি ঘটনা। মারা যান ১০ জন, গুরুতর আহত হন আরও ৫০ জন। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) নগরীর আসকার দিঘি এলাকায় রিমা কমিউনিটি সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (চমেক) নেওয়া হয়েছে। হতাহতের বিষয়টি চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর জহিরুল ইসলাম, এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার বর্নি চক্রবর্তী নিশ্চিত করেছেন।
চট্টগ্রামের তিনবারের মেয়র এবং মহানগর আওয়ামী সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ ডিসেম্বর মারা যান।
একে/এম
Powered by : Oline IT