সিটিজি জার্নাল ডেস্কঃ অতিরিক্ত ত্রাণ মজুদ ও অপচয় রোধে রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। এ বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে সোমবার (১১ ডিসেম্বর)। এদিন থেকেই এক সপ্তাহের জন্য ত্রাণ বিতরণ বন্ধ রয়েছে।১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত শরণার্থীরা কোনও ত্রাণ পাবেন না।
জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়— বাংলাদেশে আশ্রিত মিয়ানমারের নাগরিকদের মধ্যে দেশের প্রায় বেশিরভাগ এনজিও ত্রাণ হিসেবে খাদ্য বিতরণ করছে। ফলে প্রয়োজনের তুলনায় অধিক পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী ও নন ফুড আইটেম সংরক্ষণ ও অপচয় করছে রোহিঙ্গারা।এ কারণে আগামী এক সপ্তাহ ত্রাণ বিতরণ বন্ধ রাখতে হবে।
এক সপ্তাহ পর আবারও ত্রাণ বিতরণ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.নিকারুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিও ও দাতা সংস্থা ত্রাণ বিতরণ করেন। এ কারণে মাত্রাতিরিক্ত ত্রাণ সামগ্রী পেয়েছে তারা। এই ত্রাণসামগ্রী বাইরে বিক্রিসহ বিভিন্নভাবে অপচয় হচ্ছে। তাই জেলা প্রশাসন আপাতত এক সপ্তাহের জন্য ত্রাণ বিতরণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।’
কক্সবাজারে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, জেলা জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী, উখিয়া ও টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিও বিষয়ক ব্যুরোসহ সংশ্লিষ্ট এনজিওগুলোকে ওই নির্দেশনার অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।
মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর বর্বরোচিত নির্যাতনের কারণে এ বছরের ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। আগের শরণার্থী মিলিয়ে সংখ্যাটা ছাড়িয়ে গেছে ১০ লাখ।
একে/এম
Powered by : Oline IT