শনিবার সকালে কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এজে চৌধুরী কলেজ মাঠে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
অনুষ্ঠান চলার সময়ে শিকলবাহা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা হামলা করলে অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায় বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিজন ব্যানার্জী জানিয়েছেন।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি বলেন, “সেখানে কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। অনুষ্ঠানে কেন দাওয়াত দেওয়া হয়নি তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আমরা অনুষ্ঠানস্থলেই জানিয়েছি।”
জাহাঙ্গীর আলম উপজেলা আওয়ামী লীগের এডহক কমিটির সদস্য।
নতুন গঠিত কর্ণফুলী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবার প্রথমবারের মতো বিজয় দিবসের কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।
কর্ণফুলীর ইউএনও বিজন ব্যানার্জী বলেন, সকালে বিজয় দিবসের কর্মসূচিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, স্কুলের শিক্ষার্থীদের কুচকাওয়াজ, শারীরিক কসরত, ডিসপ্লে ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন ছিল।
“সকালে ফুল দেওয়ার পর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। ডিসপ্লে ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান চলার সময় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থকরা বাধা দেয়।”
তিনি বলেন, “ওই চেয়ারম্যানকে কেন দাওয়াত দেওয়া হয়নি তা জানতে চেয়ে তার সমর্থকরা অনুষ্ঠানের মাইক ছিনিয়ে নেয়, চেয়ার ছুড়ে ফেলে এবং অনুষ্ঠানের ব্যানার ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে।এ ধরনের পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠান আর শেষ করা যায়নি।”
নিয়ম মেনে উপজেলার সব ইউপি চেয়ারম্যানকেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলে দাবি করেন ইউএনও বিজন ব্যানার্জী।
ঘটনাটি চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
একে/এম