সিটিজি জার্নাল ডেস্কঃ আজ ১২ ডিসেম্বর, কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস। এদিন মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের কাছে পাকিস্তানি শক্ররা টিকে থাকতে পারেনি। তারা বিভিন্নভাবে অত্যাচার করেছে এ দেশের মানুষকে। খুন, হত্যা ধর্ষণ ও লুটতরাজ করেও ঠেকাতে পারেনি বাংলার দামাল ছেলেদের। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল একটি বিজয়-লাল সবুজের পতাকা। কিন্তু বিজয়ের ৪৬ বছর পরেও সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। এখনও সংরক্ষণ হয়নি একাত্তরের স্মৃতি বিজড়িত সেই কক্সবাজারের বধ্যভূমিগুলো।
দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করার পর পাকিস্তানী বাহিনী বুঝতে পেরেছিল তাদের বিজয়ের কোনও সম্ভাবনা নেই, পরাজয় নিশ্চিত। তখনই তারা পালিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু যাওয়ার আগেই মুক্তিযোদ্ধারা সব এলাকা দখল করে নেন।
মুক্তিযুদ্ধকালীন অধিনায়ক ও সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আবদুস সোবহান বলেন, ‘১৯৭১ সালের এই দিনে (১২ ডিসেম্বর) কক্সবাজার শহরের পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ দৌলত ময়দানে পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করা হয়। কৃষক, শ্রমিক জনতা বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। আমার নেতৃত্বে কক্সবাজার ও বান্দরবানে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন অনেকে। তবে দুঃখের বিষয় এখনও পর্যন্ত আমি কোনও খেতাব পাইনি।’
মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, ‘কক্সবাজার জেলাব্যাপী ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বধ্যভূমিগুলো এখনও সংস্কার করা হয়নি। ফলে একাত্তরের সঠিক ইতিহাস এবং মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি বিজড়িত জায়গাগুলো সম্পর্কে জানতে পারবে না নতুন প্রজন্ম।’
মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, ‘১৯৭১ এর সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। বর্তমান সরকার সারাদেশের বধ্যভূমিগুলো সংস্কার করে একই ডিজাইনের একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করার পরিকল্পনা করেছে।’
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে পাক হানাদারের হাতে নির্মম ও নৃশংসভাবে শহীদ হন ছাত্রনেতা শহীদ সুভাষ, শহীদ দৌলত ও শহীদ ফরহাদসহ অসংখ্য সাহসী যুবক।
একে/এম
Powered by : Oline IT